জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক নেতাকে শারীরিক নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
মারধরের শিকার খালিদ মাহমুদ তন্ময় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ জাবি শাখার সদস্য সচিব।
নির্যাতনের বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী সাগর সিদ্দিকীর নাম উল্লেখ করে আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষকে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী সকলেই ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এর আগে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছেও মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন তন্ময়।
মারধরের শিকার তন্ময় যুগান্তরকে বলেন, শনিবার রাত ১টার দিকে সাগরসহ (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক-৪৬ ব্যাচ) হলের ৪-৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী আমাকে গেস্ট রুমে ডেকে শিবিরের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি শিবির সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করলে তারা আমার মোবাইল কেড়ে নেয় এবং আমার বিরুদ্ধে শিবিরের লিফলেট বিতরনের অভিযোগ আনে। কিন্তু আমি বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে তাদের কাছে প্রমাণ চাইলে তারা আমাকে মারধর করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পর থেকে মারধরকারীরা বিভিন্ন সময়ে তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো বলেও জানান তন্ময়।
অভিযুক্ত সাগর সিদ্দিকী জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানার অনুসারী। মারধরের বিষয়ে সাগর সিদ্দিকী যুগান্তরকে বলেন, তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়নি। শিবিরের সংশ্লিষ্টতার খবর জানতে পেরে আমরা তন্ময়ের সঙ্গে কথা বলি। এ সময় তার ফোনে রেকর্ডিং চালু থাকায় আমরা ফোনটি রেখে দিয়েছি।
এ বিষয়ে মো. জুয়েল রানা যুগান্তরকে বলেন, ওই ছেলেটির আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে জিজ্ঞসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় তন্ময়ের সঙ্গে জিজ্ঞসাবাদকারীরা হালকা ধাক্কাধাক্কি করেছে বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক বলেন, অফিসে এরকম একটি অভিযোগপত্র জমা দেয়ার ব্যাপারে জেনেছি। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।