সিলেটে ছাত্রলীগের এক পক্ষের ছুরিকাঘাতে আরেক পক্ষের কর্মী নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগরের টিলাগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম ওমর মিয়াদ (২৬)। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ওমর শহরতলির বালুচর এলাকার আকুল মিয়ার ছেলে। সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ওমর। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদের পক্ষের কর্মী। ওমরকে রক্ষা করতে গিয়ে সাগর ও তারেক নামে আরও দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ নিহত ওমরের মরদেহ উদ্ধার করে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. জেদান আল মুসা প্রথম আলোকে বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। হামলায় জড়িত সন্দেহে হাসপাতাল এলাকা থেকে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রলীগের একটি পক্ষের বিরুদ্ধে জাকারিয়া মোহাম্মদ মাসুম (২৪) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় মামলাও হয়েছে।
এদিকে ছাত্রলীগ কর্মী ওমর মিয়াদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সন্ধ্যায় টিলাগড়ে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। এ সময় ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অবরোধের সময় বিক্ষোভকারীরা মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরীকে ঘটনার জন্য দায়ী করে স্লোগান দেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ তালুকদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মহানগর পুলিশের শাহ পরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।