২০১৬ সালের ১৬ জুন পবিত্র মাহে রমজানের রহমতের শেষ ১০ রমজান রাত্র আনুমানিক ২.৩০ ঢাকার মোহাম্মাদপুর মোহাম্মাদীয়া সোসাইটির হাউজিং সোসাইটির ৯নং রোডের ১১ নং বাসার ৬ষ্ঠ তলা থেকে ঝিনাইদহের প্রশাসন স্থানীয় আদাবর থানার সহযোগিতায় ১.ইবনুল ইসলাম পারভেজ ২. আনিসুর রহমান ৩ এনামুলকে.গ্রেফতার করে । ১৭ তাং তাদের পরিবার স্থানীয় থানায় ও ঢাকায় আদাবর থানা ও ডিবি কার্যালয়ে খোজ নেন । আদাবর থানা বিষয়টি স্বীকার করলেও স্পষ্ট কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান । ছেলেকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না এ মর্মে থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি গ্রহন করেননি ।
১৭ জুন ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে তাদের সন্ধান দাবী করে বিবৃতি প্রদান করা হয়। একই দাবীতে ২১ জুন সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করা হয়। পরিবার নিরুপায় হয়ে ছেলে কে ফিরে পেতে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। গত ১৩ জুন,১৬ শিবির নেতা শহিদ আল মাহমুদকে ঝিনাইদহ শহরের বদনপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের সময় উপস্থিত জনতা তাদের মধ্য থেকে এসআই আমিনুর ও এসআই উজ্জলকে চিনতে পারে।
অন্যদিকে রাজধানীতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩ জনের মধ্যে একজনকে হাজির করে পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টির প্রমাণ দিয়েছে। তবুও পুলিশ তাঁদেরকে দীর্ঘদিন আটক রেখে নলডাঙ্গা সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাগুলী নন্দ (৭০) হত্যার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী আদায়ের জন্য নির্মম নির্যাতন চালায়। নির্যাতন করে ইবনুল ইসলাম পারভেজ এর পা ভেঙ্গে দেয় ।
শত নির্যাতনের পরেও মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে । ইবনুল ইসলাম পারভেজকে ২ জুলাই তারিখ রাতে ঝিনাইদহের পোড়াহাটি নামক স্থানে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। সাবেক ঝিনাইদহ শহর শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহকারী সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। ঝিনাইদহ সদরের জাহাঙ্গির হোসেন ও সুরাইয়া খাতুনের ৩ সন্তানের মধ্যে ২য় সন্তান ।