কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় হাবিবুর রহমান নামের এক যুবলীগ নেতাকে ছাত্রলীগ নেতা আতিকুল ইসলাম আজাদ কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের পুত্র ও ইউনিয়ন যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং খুনের নায়ক আতিকুল ইসলাম আজাদ দক্ষিণ সোনাপুর গ্রামের আলী এরশাদের ছেলে ও জগন্নাথদীঘি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান জগন্নাদীঘি ইউনিয়নের কাকৈরখোলা কমিউনিট ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আতিকুল ইসলাম আজাদ, মোতালেব হোসেন, মো. ইয়াছিন, ছালেহ আহমেদ সুবজ কর্তৃক স্থানীয় মেয়েদেরকে ইভটিজিংয়ে বাধা দিয়ে আসছিল। এনিয়ে হাবিবের উপর ক্ষিপ্ত হয় তারা। একপর্যায়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত আটটার দিকে হাবিব ও তার ২বন্ধুসহ মোটরসাইকেল যোগে চৌধুরী বাজার যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নারায়নকরা দক্ষিণ পাড়ায় রাস্তার উপর ছাত্রলীগ নেতা আজাদের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের গতিরোধ করে। পরে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাবিবকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এসময় হাবিবের সঙ্গে থাকা জুয়েল ও নবীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত হাবিবকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হাবিবের ভাই কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আতিকুল ইসলাম আজাদ, মোতালেব, ইয়াছিন ও ছালেহ আহমদ সবুজের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।