সিলেটে রাতের বেলা জায়গা দখল করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে আটক ছাত্রলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গতকাল শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নগরের ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকার একটি বাড়ি থেকে পুলিশ এই নেতা-কর্মীদের আটক করে।
আটক করা ব্যক্তিরা হচ্ছেন মহানগর ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক উপসম্পাদক ইমদাদুল হক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা আমিদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মাসুক আহমদ, সহসভাপতি শিপলু আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোবহান আহমদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সৌরভ দেব, ছাত্রলীগ কর্মী হায়দার আহমদ, জুনেদ আহমদ, মহিউদ্দিন ওরফে ফাহমি, আকরাম হোসেন ও নুরুজ্জামান।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকার যুগীটিলায় কিছু জমির দখল নিয়ে আবদুল আউয়াল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক জুবের খানের বিরোধ ছিল। আউয়ালের এক ছেলে ছাত্রলীগ করতেন। তাঁর মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শুক্রবার রাত ১০টায় সেখানে যান। বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় জুবের খানের তত্ত্বাবধানে কয়েকটি ভাড়াটে পরিবার বাস করে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাতে ওই সব পরিবারের ওপর চড়াও হন। অবস্থা বুঝতে পেরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয় এবং সংগঠিত হয়ে হামলাকারীদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন। এ সময় দুই পক্ষে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ব্যবহূত পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে নেতা-কর্মীরা যুগীটিলার একটি বাসায় আশ্রয় নেন। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যান। মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, আটক করা ব্যক্তিদের বিমানবন্দর থানা থেকে গতকাল বিকেলে আদালতে নেওয়া হয়। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সন্ধ্যায় তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।