‘গেট বন্ধ থাকায়’ পাবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেননি ৬৩ চাকরিপ্রার্থী। পরে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
জানা গেছে, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নতুন বিভাগ ‘টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট’ বিভাগের দুটি প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার নির্ধারিত দিন ছিল শুক্রবার। এ জন্য ৭১ আবেদনকারীর মধ্যে ৬৩ জন সকাল ৯টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছান। নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুজিব উদ্দিন আহমেদসহ সব সদস্যও পাবিপ্রবি গেটের সামনে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মূল ফটক’ বন্ধ থাকায় চাকরিপ্রার্থী ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি।
একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স ও জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক চেষ্টা করেও গেট খোলাতে ব্যর্থ হন। ফলে দুপুর ১টার দিকে বিফল মন নিয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা এবং চাকরিপ্রার্থীরা ফিরে যান।
চাকরিপ্রার্থী ঢাকার বাসিন্দা তাহমিনা খাতুন সমকালকে বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় এসে গেটের সামনে দাঁড়িয়েছি, ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দুপুর ২টায় পরীক্ষা না দিয়েই ঢাকায় ফিরতে হয়।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. কামরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিয়োগ বাতিলের সত্যতা স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আওয়াল কবীর জয় সমকালকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শেখ হাসিনা হলে চুরি হয়। এই চুরির প্রতিবাদে ও হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা সকাল থেকেই গেটে অবস্থান করেন। ফলে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা অবস্থান তুলে নেন। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিতে পারেনি।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আল নকীব চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।