পদপ্রত্যাশী নেতারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি টাকার বিনিময়ে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মেলন না করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে মো. মাহবুবকে সভাপতি এবং মো. রাজীবকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তাদের কেউই ছাত্র নয়। সভাপতি মাহবুব বিবাহিত।
মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মো. রিয়াদ খান বলেন, অনেক প্রকৃত ছাত্র সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদপ্রার্থী ছিল। কিন্তু তাদেরকে না রেখে টাকার বিনিময়ে অছাত্র ও বিবাহিতদেরকে পদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমি জেলা ছাত্রলীগের নেতাদেরকে অবহিত করেছি।
মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রত্যাশী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, কমিটিকে পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম আমার কাছে মোবাইল ফোনে টাকা চেয়েছিল। টাকা দিতে পারিনি বলে আমাকে কমিটিতে রাখা হয়নি। শরীফুল ইসলামের সাথে কথাবার্তা আমার মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রেখেছি।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. আকরাম হোসেন বলেন, কমিটিতে পদ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছেও টাকা চাওয়া হয়েছিল। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় কমিটিতে আমাকে রাখা হয়নি। টাকার বিনিময়ে অছাত্র ও বিবাহিত ব্যক্তিকে ছাত্রলীগের নেতা বানানো হয়েছে। টাকা চাওয়ার প্রমাণ রয়েছে আমার কাছে।
মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মিন্টু মৃধা বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে উপজেলা নেতারা আমাকে কিছুই জানায়নি। হঠাৎ করে অছাত্র ও বিবাহিতদের দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেওয়া হয়েছে। আমরা এই কমিটি প্রত্যাখান করেছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কমিটিতে পদ না পেলে অনেকেই অভিযোগ তুলেন। দীর্ঘদিন পদ আগলে রাখা নেতারা আবার পদ না পাওয়ায় এমন রটাচ্ছেন।
মোবাইল ফোনের রেকর্ডটি তার নয় দাবি করে তিনি বলেন, যোগ্যতার বলেই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিল শাহ বলেন, টাকা নিয়ে কমিটি দেওয়া হয়নি। সবার মতামত নিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল মিয়া বলেন, আখাউড়ায় ইউনিয়ন কমিটি গঠন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আমিও পেয়েছি। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। অভিযোগ প্রমাণিত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।