চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যমুনা টিভি ও সময় টিভির দুই সাংবাদিককে হামলাকারী ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
সিইউজের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিইউজের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদ উল আলম, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, হামলার শিকার সাংবাদিক আরিফুর রহমান সবুজ ও পার্থ প্রতীম বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রহমান শোয়েব প্রমুখ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর কার্যালয়; ১৬টি গাড়ি; সঙ্গীত, আরবি ও নাট্যকলা বিভাগের ছয়টি কক্ষ ভাংচুর; প্রেস এবং কেন্দ্রীয় ব্যায়ামাগার ভাংচুরের ঘটনায় একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘চবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সফিউল আলমকে আহ্বায়ক, সহকারী প্রক্টর ফণীভূষণ বিশ্বাসকে সদস্য সচিব এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমানকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রক্টর কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে প্রক্টরিয়াল বডি।’
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম সমকালকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এখনও কাগজপত্র আমরা কাছে এসে পৌঁছায়নি।’ গত সোমবার ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশের হল তল্লাশির পর ‘শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশি হামলা’র অভিযোগ এনে প্রক্টরের পদত্যাগসহ তিন দফা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়, সাংবাদিক ও প্রক্টরের গাড়িসহ মোট ১৬টি গাড়ি, সঙ্গীত, আরবি ও নাট্যকলা বিভাগের ছয়টি কক্ষ, প্রেস এবং কেন্দ্রীয় ব্যায়ামাগার ভাংচুর করে তারা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে হাটহাজারি থানায় অজ্ঞাতনামা একটি ভাংচুরের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। হাটহাজারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দীন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সমকালকে বলেন, ‘অভিযান চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ভাংচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।’
এদিকে দুই সাংবাদিকের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। চবিসাস সভাপতি রহমান শোয়েব সমকালকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনার বিচার করতেই হবে।’