কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিনের প্রাণনাশের আশঙ্কা সংক্রান্ত মামলার সাক্ষী ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন শাকিলকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মামলার প্রধান আসামি সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর ভাতিজা আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গতকাল এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। শাকিল কুলাসার গ্রামের ছালেহ আহাম্মদ প্রকাশ বধু মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। আলকরা ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক হেলাল বিকেলে শাকিলের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮টার সময় ছাত্রলীগ শাকিল ফেনী থেকে মদিনা বাসে কুমিল্লার আদালতে সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়া রাস্তার মাথায় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী আবদুর রহমান ও আলমের নেতৃত্বে আমির হোসেন, শুভ, রিয়াজ, কফিল উদ্দিন, বাহাদুর ও ইকবালসহ ৮-১০ জনের একটি দল জোর করে তাকে বাস থেকে মুখে গামছা বেঁধে নামায়। এরপর মাইক্রোবাসে করে ফেনীর শর্শদি দীঘির পাড়ে নিয়ে যায়। শাকিলকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তাকে সেস্থানেই ফেলে রেখে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন শাকিলকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফেনী থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
আলকরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘আমি সকালে একটি মামলায় হাজিরা দিতে কুমিল্লায় চলে আসি। হাজিরা শেষে দুপুরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করি। শুনেছি-ছাত্রলীগের এক ছেলেকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে’।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেছেন, ‘আমরা এখনো ঘটনাটি সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত হইনি। বিস্তারিত জেনে পরে জানানো হবে’।