ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় অনেক নেতাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ এই মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের একটি তালিকা প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই তালিকার ভিত্তিতে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সোহাগ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই জরিপ কোনভাবেই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। এটি যদি সত্যিকারের ও সঠিক কোন অনুসন্ধান হতো, তাহলে আমার নাম এই তালিকায় থাকতো না। বরং আরো অন্যান্য নাম থাকতো যারা প্রকৃতপক্ষে এসব কাজে জড়িত। এটা আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি।’
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা অন্যান্যদের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘আমি অনেকের পরিচয় জানি। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতারা আছেন।’
তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওই সব কেন্দ্রীয় নেতার নাম বলতে রাজি হননি সোহাগ।
সংবাদ সম্মেলনে এই নেতা বলেন, ‘আমি জীবনেও সিগারেট খাইনি। আমি মাদক সেবন বা ব্যবসার সাথে জড়িত নই। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে তবে আমি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করব।’
জাতীয় দৈনিকটির প্রতিবেদন লেখার আগে আরেকটু গভীরভাবে তদন্ত করা উচিত ছিল মন্তব্য করে সোহাগ বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে তাদের সাথে আমার পড়াশুনা ও রাজনীতির মধ্য দিয়ে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার মানে এই নয় যে তাদের কাজকর্মে আমার সম্পৃক্ততা আছে।’
ছাত্রলীগে অনেক নেতা থাকলেও তাঁর নাম কেন তালিকায় জানতে চাইলে সোহাগ বলেন, ‘সূর্যসেন হলের সুজন ও মাকসুদ রানা মিঠুসহ আমরা অনেকেই শহীদ মিনার ও ঢাকা মেডিকেলের সামনে আড্ডা দিতাম। তাই হয়তো আমার নাম আসতে পারে। কারণ এর মাধ্যমে আমার পরিচিতি বাড়ে।’
গত ৬ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ছাত্রলীগ নেতাদের মাদক ব্যবসা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনে ছাত্রলীগের অন্য নেতাদের সঙ্গে মোজাহিদুল ইসলাস সোহাগেরও নাম আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।