শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের বিরুদ্ধে বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে হলে অবস্থান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বহিরাগত ওই সন্ত্রাসীর নাম মোশাররফ হোসেন। ইমরান খান তাকে নিয়ে শাহপরাণ হলের ‘সি’ ব্লকের ৪২৯ নম্বর রুমে অবস্থান করতেন। ওই বহিরাগত সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে ইমরানের দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত।
এই বহিরাগত সন্ত্রাসীকে নিয়ে আতঙ্কে আছেন ছাত্রলীগের অন্যান্য গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। তাই ওই বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং তার মদদ দাতা ইমরান খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই হলের বাসিন্দা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ। আরিফ শাহপরাণ হলের সি ব্লকের ৪২৩ নম্বর রুমের বাসিন্দা।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ওই সন্ত্রাসীকে ধরতে হল প্রশাসনের সহায়তায় শাহপরাণ হলে তল্লাশী চালায় জালালাবাদ থানা পুলিশ। এসময় অবৈধ ১০ শিক্ষার্থী সনাক্ত করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্যাম্পাসের সাইদ-সবুজ-অঞ্জন গ্রুপের কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন ইমরান খানের অনুসারী তমাল এবং যোবায়ের নামের দুই কর্মী। এদের মধ্যে তমালকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইমরান খান বলেন, কর্মীদের উপর হামলাকরীরা এ অভিযোগ করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে হামলার বিষয়টি পেছনে ফেলা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মহসিন আজিজ খান বলেন, অভিযোগ পেয়ে হলে তল্লাশি চালানো হয়েছিলো। কিন্তু অস্ত্রধারী কাউকে পাওয়া যায়নি।