২০০৯ সালের ১১ মার্চ প্রশাসনের পূর্ব অনুমতি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির ৮২ সালের ১১ মার্চে শাহাদাত বরণকারী শহীদ সাব্বির, হামিদ, আইয়ুব, জব্বারের জন্য শোক র্যালী বের করে। র্যালি শেষে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির চত্বরে সমাবেশ চলাকালে ছাত্রলীগের একটি মিছিল সমাবেশের কাছে এসে শিবিরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে উভরের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল শুরু হয়। সমাবেশ শেষে শিবির নেতাকর্মী নিজ নিজ হলে ফিরে যায়। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মীরা চারদিক থেকে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের টেন্ডে জড়ো হতে থাকে।
রাতে অস্ত্র উদ্ধারের নামে হলে হলে শিবিরের রুমে পুলিশ তল্লাশি চালায়। কিছু না পেয়ে সেদিন পুলিশ ফিরে যায়। পরের দিন ১২ মার্চ দিবাগত রাতে আবারো পুলিশ সাড়াশী অভিযান চালায়। প্রতিটি হলের গেটে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় রেখে পুলিশ হলে গ্রেফতার অভিযান চালায়। বেছে বেছে শিবিরের প্রায় শতাধিক নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে ছাত্রলীগের জন্য হল উন্মুক্ত করে দেয় পুলিশ। এদিকে হল তল্লাশি শেষ করার পর ১৩ মার্চ সকালে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা সোহরাওয়ার্দী হল এবং জোহা হল আক্রমণ শুরু করে। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ আলমসহ ১১ জনকে বন্দী করে রাখে শেরে বাংলা হলে। এক পর্যায়ে ফরহাদ আলমসহ অন্যান্যদের মুক্তির জন্য শরীফুজ্জামান নোমানীর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ শেরে বাংলা হলের কাছাকাছি আসলে পুলিশ তাদেরকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট এবং টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে নোমানী মাত্র কয়েকজনকে নিয়ে ফরহাদকে উদ্ধার করে। ফরহাদ উদ্ধার হলেও পুলিশের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা শরিফুজ্জামান নোমানীকে ধরে ফেলে এবং উপর্যুপরি রামদা, হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের রামদার আঘাতে সেখানেই তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।