সংবিধান সংশোধন নিয়ে চলমান বিতর্ক অবসানে আলোচনার পথ এখনও খোলা রয়েছে বলে মন্তব্য করে মতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আমরা সংলাপ চাই এবং সংলাপের মাধ্যমেই চলমান সঙ্কটের সমাধান চাই। যে কোনো সমস্যা সমাধানে সংলাপের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য তিনি করেন। রাষ্ট্রধর্ম, ইসলাম ও বিসমিল্লাহ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবিধান সংশোধনে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।
গত ১৩ জুলাই বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে মতবিনিময়কালে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল-মামুন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, ইত্তেফাক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে সৈয়দ আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, যখন সংলাপ বন্ধ হয় তখনই যুদ্ধ শুরু হয়। আলোচনা ছাড়া কোনো সমাধান নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেও সংলাপ চান এবং সংসদে সমাপনী ভাষণেও তিনি এ ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রধর্ম, ইসলাম ও বিসমিল্লাহ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবিধান সংশোধনে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে স্বীকার করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমি মুসলমানও নই, হিন্দুও নই। তবে সবার মতামত নিয়েই সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে একজন সম্পাদক বলেন, যাদের সঙ্গে সংবিধান সংশোধন কমিটি আলোচনা করল চূড়ান্ত পর্যায়ে তা প্রতিফলিত হয়নি।
তিনি বলেন, সংবিধান হচ্ছে একটি মীমাংসিত দলিল আর সংবিধান সংশোধন হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া। কোনো সংবিধান সবাইকে খুশি করতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলও যুক্তিযুক্ত। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
বিরোধী দলের ডাকা হরতালের সমালোচনা করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, সরকার সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সার্বিক বিষয়ে বিরোধী দলের পরামর্শ আশা করে। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের মূল্যবান পরামর্শও আশা করে সরকার।
বর্তমান সরকার সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে মন্তব্য করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমরা সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। কারণ সমালোচনা সরকারকে সঠিক পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করে।