বিদায়ী বছরে বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু হত্যা-নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে প্রায় দেড় হাজার। ২০১৫ সালের তুলনায় যা সাড়ে পাঁচ গুণ বেশি। এ সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৭১ জন। রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ২৯টি। এ ছাড়া ২৮টি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে হত্যার হুমকি পেয়েছেন ৯৬ জন। আর বিভিন্ন হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮৭৫ জন।
‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি-২০১৬’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। নিজস্ব অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালে মোট ৭৭টি মন্দিরে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৫টি। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৭ জন। এ ছাড়া অপহৃত ২৮ ব্যক্তির সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে ২৪ জন। একই সঙ্গে বসতবাড়ি ও জমিজমা দখলের হাজার খানেক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজারের মতো।
প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও হামলা নিরসনে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলো কোনো ভূমিকা নেয়নি। যে কারণে দিন দিন এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। তিনি বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান। এটা না হওয়া পর্যন্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সন্ত্রাস দমন আইন প্রয়োগেরও দাবি জানান তিনি।