ষষ্ঠ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা ও অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়েছে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ-ইডব্লিউজি। তাদের পর্যবেক্ষণ মতে, নির্বাচনে ১২টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলায় ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।
ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের দাবি, ১২টি উপজেলায় ৩৫৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৮টিতে জালিয়াতি হয়েছে। ৪০টি কেন্দ্রের ভেতর সহিংসতা ঘটেছে। এছাড়া ২১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। গতকাল বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইডব্লিউজির সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পরিচালক আব্দুল আলীম এ তথ্য জানান।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইলেকশনওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক মো. আব্দুল আলীম। সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক মু. আবদুল হালিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জানিপপের চেয়ারম্যান নাজমুল কলিমুল্লাহ, কামরুল হাসান মঞ্জু ও হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণ ছিল। দ্বিতীয় ধাপেও তা বজায় ছিল। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে এসে এর অধোগতি হয়। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপে অধোগতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। এবারের উপজেলা নির্বাচনে ধাপে ধাপে নেতিবাচক মাত্রা যোগ হয়েছে।
ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের চিত্র তুলে ধরেন ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক আবদুল আলীম। তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোট নেয়ার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সহিংসতার কারণে অনেক কেন্দ্রেই ওই প্রস্তুতি সার্বিকভাবে নস্যাৎ হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১২টি উপজেলায় ৩৫৮টি ভোটকেন্দ্রের সব কয়টি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে পর্যবেক্ষক ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের দাবি, ষষ্ঠ দফায় গড় ভোট প্রদানের হার ৫৮ শতাংশ। কিন্তু ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের মতে, জালভোটের কারণে এই পরিসংখ্যানে ভোট প্রদানের প্রকৃত হারের প্রতিফলন ঘটেনি।