আজাদ হোসেনকে আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, স্কুলছাত্রীর ওই বাবা রিকশাচালক। পরিবার নিয়ে তাঁরা রায়পুর পৌরসভায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। স্কুলছাত্রীর মা-বাবা বাসায় না থাকার সুযোগে গত মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রীর চাচাতো বোনের মাধ্যমে আজাদ হোসেন তাঁর বাসায় মেয়েটিকে ডেকে নেন। সেখানে তাকে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করেন। পরে কৌশলে ছাড়া পেয়ে নির্যাতিত ছাত্রী তার বড় বোনসহ পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর বাবা-মা ঘটনার প্রতিবাদ জানালে আজাদ তাঁদের মারধর করে রিকশা আটকে রেখে দেন।
এলাকাবাসী জানায়, আজাদ হোসেনের বাড়ি রায়পুরের পূর্বলাছ গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেকে কখনো শ্রমিক লীগ নেতা, কখনো মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দিয়ে এলাকায় সালিস-বাণিজ্য ও মাদক আড্ডাসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ‘ধর্ষণের খবর পেয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বৃহস্পতিবার রাতে আজাদ ও ধর্ষণে সহযোগিতাকারী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আজাদকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।