ছাত্রলীগের ভর্তি বাণিজ্য
গত দশ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ছাত্রলীগ। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারি কলেজগুলোতে ভর্তি করানোর নাম করে ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। ছাত্রলীগের এসব দুর্নীতি ঠেকানো তো দূরের কথা কেউ বাধা দেয়ার সাহস পায়নি। এসব পত্রিকাগুলোতেও খুব একটা রিপোর্ট হয় নি। শুধুমাত্র যেসব স্থানে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনা মিডিয়াতে স্থান পেয়েছে। আর বাকী সব কলেজে নির্বিঘ্নেই ব্যবসা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
রাজধানীর সরকারি কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে পছন্দের প্রার্থীদের ভর্তি না করায় কয়েকটি কলেজে ভাঙচুরও করেছেন তারা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মেধাতালিকা ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীদের ভর্তি করাতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করছেন ছাত্রলীগের নেতারা।
রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ঢাকা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজে সরেজমিনে ঘুরে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পুরান ঢাকার কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এই দুই কলেজ নিয়ে ‘পুরান ঢাকার দুই কলেজ: ছাত্রলীগকে টাকা দিলে ভর্তি মেলে!’ শিরোনামে ২০১৩ সালের ৪ জুলাই প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু ভর্তি-বাণিজ্য বন্ধ হয়নি। ব্যবস্থা নেয়া হয় নি এসব অবৈধ বানিজ্যের বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালের ১৩ জুলাই প্রথম আলো পত্রিকার একটি রিপোর্টে থেকে জানা যায়, কবি নজরুল কলেজে ভর্তি বাণিজ্যের সাথে সরাসরি জড়িত ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক রকিবুজ্জামান। তারা অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গড়ে ২০ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। মেধাতালিকায় না থেকেও ভর্তি হয়েছে আলমগীর হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী। সে বলে, ‘ভর্তির জন্য দুই দিন ধরে বড় ভাইদের পেছনে ঘুরছি। পরে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ফরম পাইছি।’
সোহরাওয়ার্দী কলেজে প্রকাশ্যেই টাকা নিচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন ওরফে বাবু। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক কাউছার হক।
সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজের ‘ছাত্র সংসদের’ বাইরে ফরম নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। সংসদের ভেতরে বিভিন্ন অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ফরম দিচ্ছেন বাবু। অন্যদিকে অলস সময় কাটাচ্ছেন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক। ভর্তিসংশ্লিষ্ট কোনো বিজ্ঞপ্তি ওই কমিটির দপ্তরে দেখা যায়নি। এক ছাত্র জানায়, মেধাতালিকায় তার অবস্থান পাঁচ হাজারেরও পেছনে। তাই ২৫ হাজার টাকা খরচ করেছে। পরে ফরম দিয়েছে ছাত্রলীগ।
পছন্দের ছাত্রদের ভর্তি না করানোয় ২০১৪ সালের ২৬ জুন কলেজে ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা-কর্মীরা। ওই কমিটির সভাপতি ফুয়াদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান ছাড়াও সহসভাপতি সাগর সাহা ও সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম চয়ন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল আজিজসহ তাঁদের অনুসারীরা এ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।
ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কথা বলছেন ছাত্রলীগের জুনিয়র কয়েকজন কর্মী। তাঁরা ‘বড় ভাই’য়ের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা চাইছেন। বলছেন, টাকা দিলে রোল যত পেছনেই থাক, ভর্তি করানো যাবে। এ ছাড়া বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজে অর্থের বিনিময়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ভর্তি-বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রথম আলোতে ২০১৩ সালের ৪ জুলাই প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, কলেজ প্রশাসনের সহায়তায় ছাত্রলীগ প্রতিবছরই ভর্তি-বাণিজ্য করে। ভর্তিসংশ্লিষ্ট যে শিক্ষকেরা আছেন, তাঁরাও ছাত্রলীগের কাছে অসহায়। কোনো প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হয়।
শুধু ঢাকার কলেজ নয়, রাজধানীর বাইরে দেশের নামকরা কলেজগুলোতেও চলছে ছাত্রলীগের রমরমা ভর্তি বাণিজ্য। আসন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও ছাত্রলীগের চাপের মুখে বন্ধ রয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি নামকরা কলেজের ভর্তি।
খুলনার আজম খান কমার্স কলেজে রাতের আঁধারে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে ছাত্রলীগ! ২০১৪ সালে নেত্রকোনা সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের তালিকা অনুযায়ী ভর্তি না করায় অধ্যক্ষকে শার্টের কলার ধরে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জে গুরুদয়াল কলেজে ছাত্রলীগের বাধার মুখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটের কলেজগুলোতেও চলছে রমরমা ভর্তি বাণিজ্য।
বিভিন্ন কলেজে মেধা তালিকায় ইতিমধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখন চলছে অপেক্ষমান তালিকায় ভর্তি। আর এ সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে ছাত্রলীগ। বিভিন্ন কলেজ কর্তৃপক্ষকে তারা চাহিদা লিস্ট পাঠিয়েছে। এ লিস্ট অনুযায়ী ভর্তি না করা হলেই চলে হামলা-ভাংচুর। অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতসহ নানা অনাকাংখিত ঘটনা। আবার অনেক কলেজে অধ্যক্ষ ও কতিপয় শিক্ষকদের যোগসাজসে চলছে ভর্তি বাণিজ্য। অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীর বাইরেও কথিত মেধাবীরা চান্স পাচ্ছে কলেজে!
বরিশাল সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। ছাত্রলীগের চাপ সইতে না পেরে অধ্যক্ষকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ভর্তি বাণিজ্যের সুযোগ না পেয়ে খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজে ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। সোমবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগের নেতা সাইফুলের নেতৃত্বে।
ফেনী সরকারী কলেজেও চলছে ছাত্রলীগের রমরমা ভর্তি বাণিজ্য। বানিজ্য বিভাগ থেকে ৪.৬৯ পেয়েছে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। আবেদন করেও মেরিট লিস্টে নাম আসেনি তার। ২য় অপেক্ষমান তালিকায় ৭৬১ সিরিয়ালে থাকলেও ওই শিক্ষার্থী ফেনী সরকারি কলেজে ভর্তি হতে কোন বেগ পেতে হয়নি। নিকটাত্মীয় হওয়া স্বত্ত্বেও ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে ছাত্রলীগ সভাপতি শওকত ইমরান হাজারী বিপ্লব। একইভাবে ছাত্রলীগ নেতা তপু ওই বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের অপেক্ষমান তালিকায় ৪৪৩ থাকা অপর এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেয়।
শুধু তাই নয় চলতি সেশনে একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি বানিজ্যে মেতে উঠেছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। ওই সংগঠনের শীর্ষ ৪ নেতার প্রভাবে সাহস করে কেউ মুখ না খুললেও ভর্তিচ্ছুদের গুনতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মহীউদ্দিন চৌধুরীকে হাত করে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি শওকত ইমরান হাজারী বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবদীন বাবু, ছাত্রলীগ নেতা তপু ও নোমান ভর্তি বানিজ্যে মেতে উঠেছেন।
তবে ফেনী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মহীউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সাংবাদিকদের বলেন, আপনারাই তো দেখছেন আমি কি বলবো।
এদিকে সিলেট সরকারি কলেজে শনিবার ভর্তি বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদকিরা ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। সিলেট এমসি কলেজেও রমরমা ভর্তি বাণিজ্য চলছে।
রাজশাহীতে সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) শ্রেণির ভর্তি বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। শনিবার ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হামলা ও ভাঙচুর করে তারা। এতে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে প্রায় এক ঘণ্টা এবং সরকারি নিউ ডিগ্রি কলেজে আধাঘণ্টার জন্য ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে দুই কলেছে ফের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।
খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজে রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত একাদশ শ্রেণীর ১৬২টি ফাঁকা আসনে ভর্তি সম্পন্ন করেন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের একাংশের নেতারা। এ সময় তাদের হুমকিতে শিক্ষকরা কলেজ ছেড়ে চলে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ জুন বৃহস্পতিবার অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির প্রথম দিনে খুলনার সরকারি সিটি কলেজে একইভাবে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ছাত্রলীগের ওই অংশের নেতারা। এক রাতেই ভর্তি শেষ করল ছাত্রলীগ তারা সবাই খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের অনুসারী। রোববার এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ চন্দ্রের বাড়িতে ভাংচুর ও হুমকি দেয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ রেজার সমর্থকরা। ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অধ্যক্ষ ছুটি ছাড়াই কলেজে অনুপস্থিত। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল হক জানান, একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম শেষ। বাণিজ্য বিভাগের ৩৫০টি আসনেই ছাত্র ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কিছু নেতা জোর করে কিছু শূন্য আসনে ছাত্র ভর্তি করিয়েছে।
এদিকে নগরীর সরকারি এমএম সিটি কলেজেও একই কায়দায় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ছাত্রলীগের ওই অংশের নেতাকর্মীরা। মেধা তালিকায় ভর্তির ৩ দিনই বিভিন্ন অভিযোগে ভর্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন দুই শিক্ষক। বৃহস্পতিবার অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির প্রথম দিনেই কলেজের প্রধান ফটক বন্ধ করে শূন্য আসনে নিজেদের পছন্দের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করান ছাত্রলীগ নেতারা। এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর গুলশানারা বেগম বলেন, এভাবে একটা সরকারি কলেজ চলতে পারে না। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।
সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজে চলছে ভর্তি বাণিজ্য। ছাত্রলীগের একটি সিন্ডিকেট মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কম পয়েন্ট প্রাপ্ত বহু ছাত্রকে ভর্তি করালেও টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না ভালো ফলাফল করা অসংখ্য ছাত্র। ফলে সাধারণ ছাত্রদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বঞ্চিত ছাত্ররা এই অভিযোগ করেন।
রংপুর কারমাইকেল কলেজের এইচএসসি ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। রোববার বেলা ১১ টায় নগরীর বেতপট্রিতে জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখার ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা ভর্তি বন্ধ করে দিয়ে নিজেদের লোকদের ভর্তির জন্য চাপ দেয়। এনিয়ে ব্যাংকে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কিশোরগঞ্জে সরকারি গুরুদয়াল কলেজে ছাত্রলীগ কর্মিরা তাদের পছন্দের তালিকা থেকে ভর্তির দাবিতে এএইচএসসি প্রথমবর্ষে ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা অধ্যক্ষের টেবিলে কাটা রাইফেল রেখে নিজেদের পছন্দমত ছাত্রদের ভর্তি করার জন্য শিক্ষকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। পরে সিনিয়র নেতারা উদ্যোগ নিলে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে দুই ঘন্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।
নারায়ণগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভর্তি বানিজ্যের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে এসব ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে ভর্তি বানিজ্যে আছে প্রতিষ্ঠানের অসাধু কিছু শিক্ষকসহ খোদ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষও।